ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অপরাধ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বুধবার রাজধানীর কলাবাগানে একজন বিএনপি নেতার বাসায় ডিবি পরিচয়ে গ্রেফতারের জন্য গিয়ে ১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে যে ঘটনার সঙ্গে ডিবি পুলিশ জড়িত নয়। পুলিশের কেউ ঐ বাসায় যায়নি। যারা গিয়েছিলেন, তাদেরকে ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ শনাক্ত করেছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ডিবির কেউ গেলে তাদের একটা নির্দিষ্ট জ্যাকেট আছে। সেখানে কিউআরকোড আছে। যে কেউ ইচ্ছে করলেই সেই কোড স্ক্যান করে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেন। পোশাক ছাড়া কাউকে অভিযানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। কোনো বাড়িতে অভিযানকারী দলের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হলে তারা ৯৯৯-এ ফোন করেও সহযোগিতা চাইতে পারেন।
এদিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন সময় মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নাইম ইসলাম (২৭), মাহিম (১৯), আল আমিন (২৯), দীন ইসলাম (১৬), রিফাত (১৭) ও শেখ রাসেল (২৪)।
শ্রীপুরের মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিন্টু মোল্লা গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে জৈনা বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কলাবাগানের ঘটনার মতো বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা তদন্ত করে এর সঙ্গে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা মিলেনি। এ ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিচয়ে বা সাদা পোশাকে কেউ বাড়িতে গেলে ৯৯৯-এ ফোন করে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে জানাতে বলা হয়েছে।
র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশিদ আলম বলেন, পোশাক ছাড়া র্যাব কাউকে গ্রেফতার অভিযানে যায় না। কেউ যদি র্যাবের নাম ব্যবহার করে, তাহলে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা যাবে। র্যাব অভিযানে গেলে নিজস্ব গাড়িতে এবং একাধিক ফোর্স নিয়েই অভিযানে যায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই র্যাব অভিযান চালায়।